কক্সবাজারের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সঙ্গে কক্সবাজার থেকে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় গোরকঘাটা জেটিঘাট হয়ে নৌপথই এখানকার মানুষের একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন হাজারো সাধারণ যাত্রী, রোগী এবং পর্যটক এই ঘাট ব্যবহার করলেও যাত্রীসেবার অবনতি, স্পিডবোট চালকদের দুর্ব্যবহার এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে সবাইকে।
মহেশখালীতে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার অভাব থাকায় রোগীদের কক্সবাজারে নিতে হয়। তবে গোরকঘাটা জেটিঘাটের দুরবস্থা ও স্পিডবোট চালকদের অনিয়মের কারণে রোগীরা আরও ভোগান্তির শিকার হন। সময়মতো নৌযান না পাওয়া, অতিরিক্ত ভাড়া, বোটের তাড়াহুড়ো ও চালকদের অসৌজন্যমূলক আচরণ রোগীদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, গুরুতর অসুস্থ রোগী ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন।
মহেশখালীতে প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক আসেন, বিশেষ করে আদিনাথ মন্দির, বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা পাহাড়ি সৌন্দর্য ও বৌদ্ধ বিহার দেখতে আসা পর্যটকরা গোরকঘাটা জেটিঘাট ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে কোনো পর্যটনবান্ধব ব্যবস্থা নেই। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, শৃঙ্খলাহীন নৌযান চলাচল ও স্পিডবোট চালকদের খারাপ ব্যবহারের কারণে পর্যটকদের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হয়, যা মহেশখালীর পর্যটন শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।
যাত্রীদের মতে, এই দুর্ভোগের একমাত্র সমাধান হলো একটি সংযোগ ব্রিজ নির্মাণ করা। এতে রোগীদের জরুরি সময়ে দ্রুত কক্সবাজারে নেওয়া সম্ভব হবে, পর্যটকদের যাতায়াত সহজ হবে এবং যাত্রীদের ওপর স্পিডবোট চালকদের একচেটিয়া দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে।
রোগী ও সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে স্পিডবোট চালকদের শৃঙ্খলায় আনা। পর্যটকদের জন্য নিরাপদ ও সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ। ঘাট এলাকায় নিয়মিত নজরদারি ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন। গোরকঘাটা জেটিঘাট শুধু মহেশখালীবাসীর নয়, পর্যটক ও রোগীদেরও অন্যতম লাইফলাইন। তাই এখনই যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়বে। এখন সময় হয়েছে ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার।
আপনার মতামত লিখুন :