নরসুন্দা লেক সিটি গুরুদয়াল সরকারি কলেজ এর সম্মুখভাগে অবস্থিত। বিকেল বেলা কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষের জনসমাগম হয়। নরসুন্দা লেকসিটির চতুর্পাশে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের আড্ডা জমে উঠে। ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা চলতেই থাকে। বিকাল বেলা অপরূপ সাজে নরসুন্দা লেকসিটি।
কিশোরগঞ্জবাসীর স্বপ্নের নরসুন্দা লেকসিটি শহরের বুক চিরে অবস্থিত। শহরের মধ্য দিয়ে এক সময়ের খরস্রোতা নরসুন্দা নদী ঘিরে রয়েছে নানা উপাখ্যান। তা জীবন্ত করে তোলার লক্ষ্যে মৃতপ্রায় নরসুন্দা নদী ঘিরে তৈরি হয়েছে এই লেকসিটি। এই লেকসিটির মধ্যে নির্মিত ৫টি দৃষ্টিন্দন সেতু ইতিমধ্যে শহরের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আখড়াবাজারে দৃষ্টিনন্দন সেতুর কাছে স্বাধীনতা চত্বরে প্রায় দিনই বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে গৌরাঙ্গবাজার সেতু পর্যন্ত নদী-তীরবর্তী হাঁটার সড়ক শহরবাসীকে শরীর ও মন সতেজ রাখার সুবিধা দিয়েছে। এ ছাড়া গৌরাঙ্গবাজার সেতু সংলগ্ন নদীর পাড়ে পার্কের কাজ চলছে।এটি শহরবাসীর বিনোদনে বাড়তি আনন্দ জোগায়। নরসুন্দার বড়পাড়ে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের পুকুর, ভাসমান মুক্তমঞ্চ, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এখনই মানুষের পদচারণায় মুখর। কিশোরগঞ্জ শহরে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। শহরের ক্যাসেল সালাম, গাংচিল এবং হোটেল উজানভাটি, হোটেল শ্রাবনী, হোটেল
আলমোবারকসহ আরো অনেক হোটেল রয়েছে।কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর পাড়ে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ।
কবিতার ভাষায়-
তোমার পরশে আমি উদ্ভাসিত
তোমার সংস্পর্শে আমি উল্লাসিত। তোমারি অবগাহনে,শান্তির আস্ফালন
তোমার ভালবাসায় আমি সিক্ত তোমার রূপে আমি মুগ্ধ।
তুমি সেজেছো, যৌবনের সাজে
তুমি এসেছো শীতের মাঝে
তোমার রংয়ে আমি হয়েছি রঙ্গিন।