নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার দল প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে। তারা নির্বিচারে জেল-জুলুম, হত্যা, গুমসহ আয়নাঘরে আটকে সাধারণ মানুষদের নির্যাতন করেছে। শেখ হাসিনার সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হতো, এখন শেখ হাসিনা সরকার নাই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনও নাই। সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের পেছনে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের হাত ছিল। বাংলাদেশের মাটিতে স্বৈরাচারী হাসিনার ঠাঁই নাই।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম-বর্ণ ভিন্নমত সবার জন্য খেলাফত এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবং ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঈশ্বরগঞ্জে গণসমাবেশ আয়োজন করা হয়। সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ তাকে দেখতে ও তার বয়ান শুনতে সকাল থেকেই কলেজ মাঠে জড়ো হন মুসল্লিরা।
খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার ও তার দোসরদের বাংলাদেশের রাষ্ট্রে পুনর্বাসিত করা হলে এ দেশের মানুষ তা মানবে না। বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল ইনশাআল্লাহ বলার মধ্যে দিয়ে। ইনশাআল্লাহ বলার মানে হলো মহান আল্লাহর ওপর আস্থা বিশ্বাস রাখার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম। কিন্তু এ দেশে শেখ হাসিনা ইসলামকে বিতাড়িত করার পাঁয়তারা করেছিল। ছাত্রজনতা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা উপজেলা শাখার গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মুফতি মাহমুদুল হক আযীযীর (দা.বা.) সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের যুগ্ম-আহব্বায়ক মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনসহ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতারা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজারও মানুষ উপস্থিত ছিলেন।